ভোলায় কেবলই দেশি গরু, বেশি দামে খুশি বিক্রেতা

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভোলায় জমে উঠেছে গরু আর ছাগলের হাট। তবে ভারতের গরু না আসায় গরুর দাম খুবই চড়া। এতে ক্রেতারা বিমর্ষ হলেও দারুণ খুশি বিক্রেতারা।
urgentPhoto
চরনোয়াবাদ পশুর হাট ভোলা শহরের বেশ প্রাচীন একটি হাট। এখানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গরু ও ছাগল আনা হয়। মো. সুলতান মিয়া তাঁর গরুকে নিয়ে হাটে এসেছেন। গরুর নাম লাল পাহাড়। সুলতান মিয়া লাল পাহাড়ের দাম হেঁকেছেন দুই লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা দাম উঠলেও সুলতান মিয়া এক লাখ ৮০ হাজার টাকার কমে ছাড়তে রাজি নন।
ভারতের গরু না আসায় পুরো বাজারে শুধুই ভোলা এলাকার গরু। তাই দাম গত বছরের চেয়ে অনেক চড়া। গরু কিনতে আসা মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘গত বছর যে গরুটি কিনেছি ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায়। ওই গরুটি এখন চাচ্ছে ৭০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা।’ ভারতের গরু না আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, ‘এখন আমাদের গরু ও ছাগল পালন বাড়ানো খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এসব বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।’
দাম তুলনামূলক চড়া হওয়াতে গরু বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন খুশি। তিনি বলেন, ‘দেশি গরু বিক্রি হবে এটা বড় কথা। গরুর দাম বেশি হলেও আমার দেশের মানুষ টাকা পাচ্ছে তাতে আমার কোনো কষ্ট নেই।’
তবে হাটের নিরাপত্তা ও নকল টাকা শনাক্তকরণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় একাধিক ব্যক্তি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে আজ রোববার আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক জরুরি সভায় পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আমাদের কাছে নকল টাকা শনাক্ত করার কোনো মেশিন ছিল না। এখন এসেছে, যা প্রতিটি গরুর হাটে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এসব হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। এসব হাটে সাদা পোশাকের পুলিশও থাকবে।