লিটনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/23/photo-1443022830.jpg)
খুলনায় ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা ও তাঁর বাবা ইলিয়াস হোসেন চৌধুরীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে আটক লিটনসহ পাঁচজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করা হয়।
নিহত পারভীনের ভাই রেজাউল আলম বাদী হয়ে লবণচোরা থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত শনিবার রাতে রেজাউল জমির দালাল নওয়াব আলী ও আসলাম মিস্ত্রিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নওয়াব আলীকে আটক করে পুলিশ।
লবণচোরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, রেজাউলের করা সর্বশেষ মামলার ওপর ভিত্তি করেই অভিযোগপত্র দায়ের করা হবে।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে খুলনার বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকার তিন নম্বর সড়কে এপিভিলা নামের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে খুলনার এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা (২৪) ও তাঁর বাবা ইলিয়াস হোসেন চৌধুরীর (৭০) লাশ উদ্ধার করেন পারভীনের ভাই রেজাউল আলম। ওই বাড়িতে নিহত দুজনই থাকতেন বলে জানিয়েছেন রেজাউল।
লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার শূন্য ওই বাড়িতে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই চুরির সূত্র ধরে গত রোববার রাতে খুলনা মহানগরের গল্লামারি এলাকা থেকে মো. লিটন নামের একজনকে আটক করে মহানগর পুলিশ।
লিটন গত সোমবার দুপুরে মহানগর হাকিম আয়শা আক্তার মৌসুমীর কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
লিটনের বরাত দিয়ে পুলিশ গণমাধ্যমকে জানান, লিটনসহ আরো চারজন ধর্ষণের পর পারভীনকে হত্যা করেন। ধর্ষণের আগে পারভীনের বাবা ইলিয়াস হোসেনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, খুলনায় এক্সিম ব্যাংকের ক্যাশ কর্মকর্তা ছিলেন পারভীন সুলতানা। এমবিএ পাস করার পর তিন বছর আগে ওই ব্যাংকে চাকরি নেন তিনি। এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আকদ হয় এক বছর আগে। সামনের ঈদুল আজহার পরই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তিনি আরো বলেন, ‘কেবল ধর্ষণের জন্য কেউ এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারে তা ধারণারও বাইরে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আটক লিটনসহ অন্য চার আসামিকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিলে দেখা যেত।
তবে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আসামিরা যে দলেরই হোক না কেন এই জঘন্য অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন উন্নতির দিকে তখন এই ধরনের অপরাধ কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না।’
সংসদ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মানুষ যে এত নিষ্ঠুর হতে পারে, তা ধারণারও বাইরে।’