সৌদিতে বাংলাদেশির মৃত্যু, লাশ চেয়ে বাবার আকুতি

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার হাওলাদার আল মামুন (৩০) নিহত হয়েছেন। গত ২৯ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় দাম্মাম শহরের নারিয়া এলাকায় নিজের ভাড়ায় চালিত গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।
মামুন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. সেলিম হাওলাদারের ছেলে। দুর্ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার সকালে মামুনের মৃত্যুর খবর পায় তাঁর পরিবার ও স্বজনরা।
মামুনের বাবা সেলিম হাওলাদার জানান, ১৪ মাস আগে তাঁর বড় ছেলে মামুন সৌদি আরবে যান। সেখানে গাড়ি চালানো শিখে নিজেই একটি গাড়ি (প্রাইভেট কার) কিনে ভাড়ায় চালাতেন। কিন্তু গত সোমবার থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর সৌদি আরবে মামুনের বন্ধু ও স্বজনদের কাছে খোঁজ নিয়েও তাঁর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সেজন্য ওখানকার সৌদি দূতাবাসে যোগাযোগ করেন সেলিম। পরে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসে খোঁজ নিলে মামুনের মৃত্যুর খবরটি জানা যায়।
দূতাবাসের বরাত দিয়ে মামুনের বাবা সেলিম বলেন, তাঁর ছেলে দাম্মাম প্রদেশের নারিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ছেলের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।
এদিকে মামুনের মৃত্যুর খবরে পরিবার ছাড়াও তাঁর প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে আনার জন্য স্বজনরা বুধবার সকাল থেকে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ছেলের লাশ শেষবারের মতো দেখতে ও নিজ মাটিতে দাফনের আশা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলামের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সেলিম।
ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, মামুনের মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে আসতে বৈদেশিক ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক চিঠিও পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি এ বিষয়ে সরকারি সব ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যাবে।