সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ঘোষণা হচ্ছে বৃহস্পতিবার

সর্বশেষ আরো ছয়টি বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিবেন।
এ সময়ে বাগেরহাট প্রান্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ কয়েকজন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ এলিটফোর্স র্যাবের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিতি থাকবেন।
সুন্দরবন দস্যু মুক্ত হওয়ার ঘোষণা অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের সর্বশেষ দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ছয়টি বাহিনী প্রধানসহ ৫৪ জন বনদস্যু ৫৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন হাজার ৩৫১ রাউন্ড গোলাবারুদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে।
আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু বাহিনীগুলো হলো সাত্তার বাহিনী, শরিফ বাহিনী, মুকুল-সিদ্দিক বাহিনী, আল-আমিন বাহিনী, আনারুল বাহিনী ও তৈয়ব বাহিনী। অনুষ্ঠানে এর আগে আত্মসমর্পণ করা সুন্দরবনের নয়টি বনদস্যু বাহিনীর ৮৪ জন সদস্যের প্রত্যেকের হাতে এক লাখ টাকা করে অনুদানের চেক দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এলিটফোর্স র্যাবের তৎপরতায় ২০১৬ সালের ১ জুন প্রথম মোংলা বন্দরের ফুয়েল জেটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের হাতে ৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে বাহিনী প্রধান ও তাঁর ৯ সহযোগীসহ দুর্ধর্ষ বনদস্যু ‘মাস্টার বাহিনী’ প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার আত্মসমর্পণ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে মানজার বাহিনী প্রধান মানজার সরদার, মজিদ বাহিনী প্রধান তাকবির বাগচী মজিদ, বড় ভাই বাহিনী প্রধান আবদুল ওয়াহেদ মোল্লা, ভাই ভাই বাহিনীর প্রধান মো. ফারুক মোড়ল, সুমন বাহিনীর প্রধান জামাল শরিফ সুমন, দাদা ভাই বাহিনীর প্রধান রাজন, হান্নান বাহিনীর প্রধান হান্নান, আমির বাহিনীর প্রধান আমির আলী, মুন্না বাহিনীর প্রধান মুন্না, ছোট শামছু বাহিনীর প্রধান শামছুর রহমান, মানজু বাহিনীর প্রধান মো. মানজু সরদার ও সূর্য্য বাহিনীর প্রধান সূর্য্যসহ ২৯টি বনদস্যু বাহিনীর ২৭৪ সদস্য ৪০৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৯ হাজার ১৫৩ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এসব বনদস্যু বাহিনী আত্মসমর্পণের পর সুন্দরবনে শান্তির সুবাতাস বইছে।