কক্সবাজারের টেকনাফে মালয়েশিয়াগামী ১৪ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। গতকাল সোমবার রাতে তাদেরকে শাহপরীর দ্বীপ এলাকার ঘোলার চর থেকে আটক করা হয়।

এদের মধ্যে নয়জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাদের প্রত্যেককে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তারা থেংখালী, বালুখালী, কুতুপালং, নয়াপাড়া, জামতলী ও মধুছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকতেন। তাদের রোহিঙ্গা নিবন্ধন কার্ড রয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা জানায়, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি/৫ নম্বর ব্লকের  মো. আইয়ুব আলী (৪০) তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ হাজার  টাকা করে নিয়ে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। গত ২ নভেম্বর  রাত ১১টার দিকে সাবরাং কচুবুনিয়া এলাকা দিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে তারা নৌকায় করে রওনা দেয়। এরপর গতকাল ৫ নভেম্বর রাত সোয়া ১১টার দিকে তাদের ঘোলার চরে নামিয়ে দেয়। এরপর দালালরা গভীর সমুদ্রে চলে যায়।

রোহিঙ্গারা জানায়, ঘোলার চরে নামানোর আগে দালালেরা বলে যে, ‘মালয়েশিয়া চলে এসেছি, এখন তাড়াতাড়ি নেমে যাও।’

কক্সবাজারের টেকনাফে মালয়েশিয়াগামী ১৪ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবির সদস্যরা। ছবি : এনটিভি

বিজিবির ২ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আছাদুদ জামান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনে শাহপরীর দ্বীপ বিওপিতে কর্মরত সুবেদার মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহলদল শাহপরীর দ্বীপের ঘোলার চর দক্ষিণপাড়া সাগরতীর থেকে এই ১৪ রোহিঙ্গাকে আটক করে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন জামতলী শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত নুরুল আলমের ছেলে মো. ইয়াছিন (২২), বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্পের মো. সালামের ছেলে মো. ইসলাম (২৬), মৃত আবদুর গফুরের মেয়ে বিবি খদিজা (১৮), থ্যাইংখালী শরণার্থী ক্যাম্পের মো. শফিকের ছেলে মো. খায়রুল আমীন (১৮), মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. রহিমুল্লাহ (১৬), মৃত ইমান হোসেনের ছেলে মো. জাকের আহাম্মেদ (১৯), মো. আবদুর রবের মেয়ে  নূর বাহার (১৮), সৈয়দ কালামের মেয়ে আনোয়ারা বেগম (১৮),  কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে মো. ছাইদুল আমীন (১৯) ও মো. সুলতান (৪৫), মৃত কামালের ছেলে  মো. ফরিদুল আলম (১৮), মধুছড়া শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে   খোরশিদা (১৬), মো. নূর ছালামের মেয়ে রফিজা (১৮) ও টেকনাফ  নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. হোসেন (১৭)।