রাজশাহীতে ধানের শীষ চান ৪২ মনোনয়নপ্রত্যাশী

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে এবার তোড়জোড় শুরু করেছেন বিএনপি নেতারা। দীর্ঘদিন পর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণে সঞ্চার ঘটেছে। এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে রাজশাহীর ছয় আসন থেকে ৪২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম কিনে জমা দিয়েছেন।
আগামীকাল রোববার থেকে তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হবে। রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা রয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনোনয়ন বোর্ডে থাকবেন। এর পরই মূলত ধোঁয়াশা কাটবে রাজশাহীর ছয় আসনে কারা হচ্ছেন ধানের শীষের কান্ডারী। ওই দিন প্রথমে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের। এরপর রাজশাহী বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার হবে।
এদিকে, রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে নির্বাচনের জন্য এবার বিএনপির ৪২ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে রাজশাহী-১ আসনে তিনজন, রাজশাহী-২ আসনে দুজন, রাজশাহী-৩ আসনে ১৩ জন, রাজশাহী-৪ আসনে আটজন, রাজশাহী-৫ আসনে সাতজন এবং রাজশাহী-৬ আসনে নয়জন।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনজন। এঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ও ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন শাহীন ও কেএম সাজেদুর রহমান মার্কনি।
রাজশাহী-২ (সদর) আসন : রাজশাহী সদর আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন দুজন। এঁরা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও বিএনপি নেতা সাঈদ হাসান।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) : এই আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৩ জন। এঁরা হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট কামরুল মনির, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মন্টু, সাবেক নারী সংসদ সদস্য জাহান পান্না, বিএনপি নেতা সাঈদ হাসান, মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল আলম ও ওয়াদুদ হাসান পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ও পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহেল রানা, পবার নওহাটা পৌরসভার মেয়র শেখ মকবুল হোসেন ও অ্যাডভোকেট ড. আলমগীর মোস্তাফিজুর রহমান টমি।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) : এই আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আটজন। এঁরা হলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু, সাবেক সংসদ সদস্য আবু হেনা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল গফুর, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা বিএনপির সহসভাপতি অধ্যাপক মকলেছুর রহমান ও জিয়া পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও আমেরিকা প্রবাসী ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম, ড্যাব নেতা আশফাকুর রহমান সেলি এবং সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল লতিফ মুকুল।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) : এই আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নপত্র তুলেছেন সাতজন। এঁরা হলেন আসনটির সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল করিম সনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা আবু বকর সিদ্দিক, বিএনপি নেত্রী মাহামুদা হাবিবা, বিএনপি নেতা গোলাম সাকলায়েন ও খায়রুল ইসফা শিমুল।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) : এই আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন নয়জন। এঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কারাবন্দি আবু সাইদ চাঁদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু ও রমেশ দত্ত, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান, বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান খান মানিক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, বিএনপি নেতা শাহীন মন্ডল ও লন্ডনপ্রবাসী মো. সামসুজ্জোহা।