নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক না করতে সরকারকে চিঠি দেবে ইসি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/11/20/photo-1542732042.jpg)
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে যাতে আর কোনো ধরনের বৈঠক না করা হয় সেজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের অধীন হওয়ায় তাদের যাতে অন্য কোনোভাবে কেউ ডেকে সভা না করা হয়- এগুলোর ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেব।
ইসি সচিব বলেন, আজকে মাননীয় কমিশন একটি নির্দেশনা দিয়েছে, সবগুলো বিষয় মিলিয়ে সরকারকে আমরা একটা পত্র দেব। সিদ্ধান্ত হয়েছে এ রকম যে অভিযোগগুলো পত্রপত্রিকায় আসছে সেগুলো যাতে ভবিষ্যতে আর না করা হয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশন তা তদন্ত করে দেখবে কেন তার বদলি চাওয়া হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কমিশন তা খতিয়ে দেখবে, তলিয়ে দেখবে, তদন্ত করবে, তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিএনপির অভিযোগ, তাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে আসার পথে সাদা পোশাকের লোকজন তাদেরকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এ বিষয়ে আমরা অভিহিত নই। আমরা যদি এ বিষয়ে অভিযোগ পাই তাহলে ব্যবস্থা নেব।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের শাস্তি ও বদলি দাবি করেছে বিএনপি। এই ব্যাপারে সচিব নিজে বলেন, নির্বাচন কমিশনের যে সিদ্ধান্তগুলো হয়, ওই সিদ্ধান্তের মুখপাত্র হিসেবে ও সাচিবিক দায়িত্ব পালনের জন্য ইসি সচিব সব ধরনের কাজ করে থাকে। এখানে নির্বাচন কমিশন সচিবের আলাদা কোনো সত্ত্বা নেই। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব সচিবের। এজন্য ইতিমধ্যে যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে, সেগুলো কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত।
সরকারের করা মেন্টরদের তালিকায় তাঁর নাম থাকা নিয়ে ইসি সচিব বলেন, মন্ত্রিপরিষদ ১৩ নভেম্বর মেন্টর নিয়োগের আদেশটি বাতিল করেছে। জেলাতে মেন্টর নিয়োগের বিষয়টি অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন জেলায় মেন্টর নিয়োগ করে থাকে।
তফসিল ঘোষণার দিন মেন্টর নিয়োগ করা হয়েছে, তবু কেন কমিশনকে জানানো হয়নি এই প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এ বিষয়ে আমি অভিহিত নই।
বিএনপির অভিযোগ, সরকারের কারণে আপনারা রেফারির ভূমিকা পালন করতে পারছেন না, কেন পারছেন না, চাপটা আসছে কোথায়- এই প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এই পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনাররা নিজেরা বসে নিয়েছেন। এখানে কারো চাপে বা পরামর্শে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রশাসনের রদবদলের বিষয়ে বিএনপির অভিযোগের ব্যাপারে সচিব বলেন, ঢালাওভাবে প্রস্তাব কমিশন গ্রহণ করবে না। প্রত্যেকটি অভিযোগ সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। তখন বিষয়টি নির্বাচন কমিশন তদন্ত করবে কী কারণে তার বদলি চায়।