নির্বাচনকালীন মানবাধিকার সংরক্ষণে ব্যর্থতা আছে

নির্বাচনের সময়ে মানবাধিকার সংরক্ষণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বেশ কিছু ব্যর্থতা আছে বলে উল্লেখ করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা সার্কিট হাউসে নির্বাচনকালীন মানবাধিকার সংরক্ষণবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন কমিশনের চেয়ারম্যান।
রিয়াজুল হক বলেন, ‘ভোটের অধিকারটি আমরা সম্পূর্ণভাবে ধরে রাখতে পারিনি। আমরা মানবাধিকারটা সেখানে সংরক্ষণ করতে পারিনি। এর আগে আমাদের বেশ কিছু ব্যর্থতা আছে।’
ভোট ও নির্বাচনকালীন মানবাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে রিয়াজুল হক বলেন, ‘আমাদের সংবিধানেও পরিষ্কার করে বলে দেওয়া আছে যে, ভোটাধিকার মানুষের একটি বড় অধিকার। আমাদের কিছু কিছু দুর্বলতা রয়েছে, যেটা আমাদের সব জায়গায় ফেস করতে হয়। তার একটা দুর্বলতা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন সময়ে আমরা কতটুকু মানবাধিকার সংরক্ষণ করতে পেরেছি।’
এতোকিছুর পরও সার্বিক দিক বিবেচনায় বর্তমানে দেশ একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ যাত্রা যেন অব্যাহত থাকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের যারা সুধীজন আছেন, আমাদের যারা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আছেন, প্রত্যেকের একটা দায়িত্ব রয়েছে যে, আমরা একটা সুন্দর, অবাধ, স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাই। এবং আমি মনে করি যে, ঠিক সেইভাবেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
‘এই যে যাত্রা, এই যাত্রা যেন এভাবে অব্যাহত থাকে, ৩০ তারিখের পরও ওই ৩১ ডিসেম্বর বলি, বা পয়লা জানুয়ারি বলি, আগামী বছরটা যেন আমাদের কাছে দুর্বিষহ চিত্র না নিয়ে আসে। আগামী বছরটাকে যেন আমরা সম্প্রীতির বছর হিসেবে দেখতে পারি। সেই বিষয়টি নির্ভর করছে আপনাদের সবার ওপরে’, বলেন কাজী রিয়াজুল হক।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনার সভাপতি ডা. বাহরুল আলম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির খুলনার সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুখ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশ প্রমুখ ।
পরে অনুষ্ঠানে ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সংহিস ঘটনা নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।