স্ত্রীর জন্য নৌকায় ভোট চাইলেন মেয়র খালেক

বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনের সংসদ সদস্য স্ত্রী হাবিবুন নাহারের জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে মোংলা বন্দর হবে বিশ্বের দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মোংলায় কমিশনার শফিউল্লাহ সড়কে পৌর ব্যবসায়ীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেক এই কথা বলেন।
নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার আগেই এভাবে অনুষ্ঠান করে ভোট চাওয়ায় মেয়র খালেক নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খালেকের স্ত্রী হাবিবুন নাহার আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।
মেয়র খালেক বলেন, ‘বিগত বিএনপি-জামায়াত জোটের আমল ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১০ বছরের শাসনামলের উন্নয়নের কথা চিন্তাভাবনা ও বিবেচনা করেই আপনারা সবাই দল-মত নির্বিশেষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহারকে নির্বাচিত করবেন, এটা আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ রইল।’
মোংলা-রামপালে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প, বিশেষ করে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, খানজাহান আলী বিমানবন্দর, মোংলা-খুলনা রেললাইন, বন্দর চ্যানেল ড্রেজিং, মোংলা নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতুসহ অন্যান্য প্রকল্পের কথা তুলে ধরে খুলনা সিটির মেয়র বলেন, ‘এসব উন্নয়ন প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে হলে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন, তা না হলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এ এলাকায় খুন, দখল, চাঁদাবাজি ছাড়া কোনো উন্নয়ন হয়নি; বরং মোংলা বন্দরকে অচল করে দেওয়া হয়েছিল। আর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বন্দর সচলের পাশাপাশি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এখানে একটি মানুষও খুন হয়নি, কোথাও কোনো চাঁদাবাজি, মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নজির নেই। এ এলাকার সবাই ভালোভাবে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছেন। তাই আগামীতেও নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন, এটাই আপনাদের প্রতি আমার প্রত্যাশা। কারণ ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমি এবং আমার সহধর্মিণী সার্বক্ষণিক আপনাদের পাশে থেকেছি এবং উন্নয়ন করেছি, যা অন্য কেউই করেনি।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ শেখ আবদুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইসরাফিল হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম সরোয়ার, ব্যবসায়ী নেতা মো. জালাল পাটোয়ারী, সেলিম হোসেন, বাহাদুর মিয়া, বেল্লাল হোসেন প্রমুখ।