খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দিয়েছেন বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে বিএনপির প্রার্থী লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম।

আজ বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তুষার কুমার পালের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মৌখিকভাবে এই অভিযোগ জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান শেখ ফরিদ। এ সময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ জাকারিয়াও উপস্থিত ছিলেন।

লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগেই খুলনার মেয়র খালেক তাঁর স্ত্রীর জন্য নৌকায় ভোট চেয়েছেন। এতে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন হয়েছে কি না, তা দেখতে হবে।

নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নের আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, এই জনপদে যিনি দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়া সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত বাগেরহাট-৩ আসনের নির্বাচনী এলাকায় সভা করছেন, যেটা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমি আশা করছি নির্বাচনী কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নজর দিবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।

মনোননয়নপত্র জমাদানকালে লায়ন শেখ ফরিদের সঙ্গে ছিলেন মোংলা পৌর বিএনপির সহসভাপতি মো. খলিুলর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মো. আবুল কালাম, রামপাল উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ শহীদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খাজা মঈন উদ্দিন আখতার ও হুড়কা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মো. বাবুল হাওলাদার।

এদিকে দীর্ঘ দেড় যুগ পর বাগেরহাট-৩ আসনে বিএনপির একক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। বিগত বছরগুলো এ আসনে জোটের শরিকদল জামায়াতের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে একের পর এক আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হওয়ায় এবার প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি।

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, আসনটিতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে, যারা কখনই জামায়াতকে ভোট দেয় না এবং দিতে আগ্রহীও নয়। এবার ভোটগুলো বিএনপির প্রার্থীর বাক্সে নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে তারা। এ ছাড়া দলমত নির্বিশেষে বিএনপি প্রার্থী লায়ন শেখ ফরিদ দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সবার সুখে-দুঃখে পাশে থাকায় এবং সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় ঝিমিয়ে পড়া বিএনপি এখন মাঠে ময়দানে সরব হয়ে উঠেছে।

মনোনয়ন জমা দিয়ে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবেই এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। ভোটারদের মূল্যবান ভোট আমাদের নেত্রীর মুক্তিকে ত্বরান্বিত করবে এবং ভোটে জয়ের মধ্যদিয়ে তারেক রহমানের প্রত্যার্বতনও অর্জন হবে।’