নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা জামায়াতে ইসলামীর
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/12/30/photo-1546168668.jpg)
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর যেসব প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, ওই সব আসনে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বয়কট করার ঘোষণা এসেছে দলটির পক্ষ থেকে। জামায়াতে ইসলামীর নেতারা ২২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
আজ রোববার জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণার কথা বলা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রহসনের এ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই জনগণের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সরকারের নির্দিষ্ট ছক ও নক্শা অনুযায়ী সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জোটের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের তাগিদ দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু শুরু থেকেই একতরফা নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন একতরফাভাবে সরকারি দলকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করছে।
‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ও সমতল মাঠ তৈরিতে ব্যর্থ হয়। এতদসত্ত্বেও আমরা আশাবাদী ছিলাম নির্বাচন কিছুটা হলেও নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে এবং জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে।’
জামায়াতের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে এটা কোনো নির্বাচনই নয়। নির্বাচনের নামে এটি একটি ব্যালট ডাকাতির প্রহসন এবং জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই একতরফা নির্বাচনকে কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর যেসব প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, ওই সব আসনে আমরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বয়কট করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
‘প্রহসনের এ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
ধানের শীষ মার্কায় জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন—দিনাজপুর-১ মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম-১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম ও কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী হলেন—পাবনা-১ ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, চট্টগ্রাম-১৬ জহিরুল ইসলাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ নুরুল ইসলাম বুলবুল।