ছাত্রীকে গণধর্ষণ : ছাত্রলীগের ২ নেতাকর্মীর জবানবন্দি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/05/photo-1444050115.jpg)
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেননি ওই ঘটনায় আটক ছাত্রলীগের দুই নেতা-কর্মী। তাঁরা ঘটনার জন্য ছাত্রদলের এক নেতাকে দায়ী করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
চৌগাছা পৌর ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক পারভেজ সানি ও ছাত্রলীগকর্মী শিমুল আজ সোমবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তবে ধর্ষণের ঘটনায় আটক চৌগাছা পৌর ছাত্রদলের সাত নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি উজ্জ্বল জবানবন্দি দেননি। তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল রোববার চৌগাছা উপজেলা সদরের একটি স্কুলের মাঠ থেকে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ সানি, ছাত্রদল নেতা উজ্জ্বল ও ছাত্রলীগকর্মী শিমুলকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
আটক তিনজনসহ চারজনের বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় রোববার রাত ৮টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা মামলা করেন। এদিকে আটক ওই তিনজনকে রোববার গভীর রাতে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের দাবি, আটকের সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে তাঁরা আহত হয়েছেন।
আটক তিনজনকে আজ বিকেলে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম চৌগাছার আমলি আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিচারক প্রণব কুমার ছাত্রলীগের দুই নেতা-কর্মীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। ছাত্রদল নেতা উজ্জ্বল জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। পরে বিচারক তিনজনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চৌগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ হোসেন জানান, জবানবন্দিতে পারভেজ সানি ও শিমুল দাবি করেছেন, তাঁরা দুজন মেয়েটির সঙ্গে থাকা ছেলেটিকে আটকে রেখেছিলেন। ছাত্রদল নেতা উজ্জ্বল মেয়েটিকে অন্য একটি স্থানে নিয়ে যায়। পরে তাঁরা মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
এদিকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ সকালে ওই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আলমগীর কবীর জানান, ৪৮ ঘণ্টা পর এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এদিকে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আজ সকালে চৌগাছার সব স্কুলের শিক্ষার্থীরা চৌগাছা সদরে মানববন্ধন করে।