এমপি বদির মামলা বাতিলের আবেদন ফেরত

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা বাতিল চেয়ে সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির করা আবেদন ফেরত দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতের শুনানিতে সংসদ সদস্য বদির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুদকের মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিলাম; শুনানি শেষে আদালত বাতিল করতে অপারগতা প্রকাশ করে আবেদনটি ফেরত দিয়েছেন। এখন আমরা অন্য আদালতে এ বিষয়ে পুনরায় আবেদন করব।’
অন্যদিকে, দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানিতে আদালত সন্তোষ না হওয়ায় আবেদনটি ফেরত দিয়েছেন। এখন তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই। আগামী ২৭ অক্টোবর নিম্ন আদালতে এ বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।’
গত ১ অক্টোবর এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।
কক্সবাজার-৪ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলছে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক আবদুস সোবহান ঢাকার রমনা থানায় সাংসদ বদির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের এ মামলা করেন।
২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদের বিবরণে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় ক্ষমতাসীন দলের এই নেতার বিরুদ্ধে।