বাবার বাড়ি যেতে না চাওয়ায় স্ত্রীকে মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা!

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহত শামীমা আক্তার রেখাকে উদ্ধার করে ভ্যানযোগে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আহত রেখার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
স্থানীয়রা জানান, বাঘা উপজেলা সদরে অবস্থিত সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জিল্লুর রহমান প্রথম স্ত্রী থাকার পরও নাটোরের এক ক্লিনিকে কর্মরত শামীমা আক্তার রেখাকে ভালোবেসে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। রেখার বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার ছালামপুর এলাকার কেশববাড়িয়া গ্রামে। প্রথম স্ত্রীর চাপের মুখে বিয়ের দেড় মাস পর দ্বিতীয় স্ত্রী রেখাকে তালাক দেন জিল্লুর। এ ঘটনায় গত বছর নাটোর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন রেখা। জিল্লুর রহমান চলতি মাসের ১০ তারিখ রেখাকে মামলা তুলে নেওয়ার শর্তে পুনরায় বিয়ে করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেখা জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নাটোর থেকে মোটরসাইকেলে করে দীঘা সড়ক হয়ে স্বামী জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বাঘা উপজেলা সদরে আসছিলেন তিনি। তাঁরা দীঘা এলাকায় পৌঁছালে জিল্লুর রহমান রেখাকে তাঁর বাবার বাড়ি ছালামপুরে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এ প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁকে মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান জিল্লুর রহমান। স্থানীয় লোকজন রেখাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আক্তারুজ্জামান বলেন, রেখা মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাঁর মুখের নিচের অংশ থুতনির হাড় ভেঙে গেছে। এ ছাড়াও তাঁর হাত ও শরীরের কয়েক জায়গায় জখম হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জরুরি কাজে লালপুরে অবস্থান করছি। আমার স্ত্রীকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আমার লোকজন দিয়ে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন আলী জানান, লোকমুখে ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।