১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল ২৩ নভেম্বর

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কক্সবাজারের সালামত উল্লাহ খানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ মামলায় নতুন একজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ রোববার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম এ বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ারদী।
এ মামলায় নতুন আসামি হলেন- মৌলভি রমিজ হাসান। তিনিসহ মামলার আসামি ২০ জন হলেও মৌলভি শামসুদ্দোহা মারা যাওয়ায় আসামির সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ জনে।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর ছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও জেয়াদ আল মালুম। এ বিষয়ে জেয়াদ আল মালুম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দিতে দুই মাসের সময় চেয়েছি, শুনানি শেষে আগামী ২৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দখিলের দিন ধার্য করেন।’ নতুন আসামি হিসেবে রমিজ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করলে আদালত তা আমলে নেন।
গত ৮ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তর, দেশান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী ১৩টি অভিযোগ রয়েছে।
এই মামলার আসামিরা হলেন আবদুস সালাম (৭৭), মৌলভী জকরিয়া শিকদার (৭৮), মো. রশিদ মিয়া (৮৩), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালাল উদ্দিন (৬৩), মৌলভী নুরুল ইসলাম (৬১), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মৌলভী আমজাদ আলী (৭০), মৌলভী আবদুল মজিদ (৮৫), বাদশা মিয়া (৭৩), ওসমান গনি (৬১), আবদুল শুক্কুর (৬৫), মো. জাকারিয়া (৫৮), মো. জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী (৫৮), মৌলভী জালাল (৭৫), আবদুল আজিজ (৬৮) ও মৌলভি রমিজ হাসান।
এঁদের মধ্যে সালামত উল্লাহ খানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. নূরুল ইসলাম ২০১৪ সালের ১২ মে থেকে চলতি বছরের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের অপরাধের তদন্ত শেষ করা হয়।
তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে মূল ১৬১ পৃষ্ঠার সঙ্গে সর্বমোট ৪৩৯ পৃষ্ঠার নথিপত্র রয়েছে। প্রতিবেদনে ৬০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচি এবং ঘটনাস্থলের স্থিরচিত্র দাখিল করা হবে প্রসিকিউশনে।
তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে মোট ঘটনা ১৩টি। এর মধ্যে হত্যার ৯৪টি, নারী নির্যাতন অসংখ্য এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ব্যাপক। মামলায় মোট ১২৬ জন সাক্ষী রয়েছে।