নববধূকে ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় শাশুড়িকে হত্যা : তিনজনের যাবজ্জীবন

যশোর সদর উপজেলার ইছাপুর গ্রামে নববধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও তাঁর শাশুড়িকে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন ইছাপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম (২৬), জাহিদ (২৬) ও মো. কুদ্দুস (২৬)।
আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে ইছাপুর গ্রামের এক রাজমিস্ত্রির নববধূকে ধর্ষণ করতে যায় আসামিরা। সে সময় রাজমিস্ত্রির মা লিপি বেগম তাদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে লিপি বেগমকে হত্যা করে।
পরে ওই ঘটনায় লিপির ছেলে বাদী হয়ে সাইদুল ও জাহিদসহ অজ্ঞাত আরো দুজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ২০১৫ সালের ২৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুম বিল্লাহ আদালতে সাইদুল, জাহিদ ও কুদ্দুসকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সাইফুল ইসলাম নামের আরেক আসামিকে অভিযোগপত্রে বাদ দেওয়া হয়। পরে বাদী ওই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধ নারাজি দিলে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠান।
সিআইডির পরিদর্শক মো. হারুন-অর-রশিদও সাইফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে সাইদুল, জাহিদ ও কুদ্দুসকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত মামলার অভিযোগ গঠনের সময় সাইফুল ইসলামকে সংযুক্ত করলেও শেষমেশ অভিযোগ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এনামুল হক ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শাকরিন সুলতানা মামলাটি পরিচালনা করেন।