অবশেষে ভৈরব নদের পাটা উচ্ছেদ শুরু
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/14/photo-1444824943.jpg)
যশোর শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদে অবৈধ দখলদারদের দেওয়া পাটা শেষপর্যন্ত উচ্ছেদ শুরু করেছে প্রশাসন। আজ বুধবার শহরের পূর্বপ্রান্তে ঝুমঝুমপুর এলাকা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফুর রহমানের নেতৃত্বে ভৈরব নদের পাটা উচ্ছেদ শুরু হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তামিনুল ইসলাম ও কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলী আকবরসহ পুলিশ সদস্যরা ছিলেন। প্রথম দিনের অভিযানে তিনটি পাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় নদের দখলদারদের কাউকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর জানান, জেলার সব নদী ও উন্মুক্ত জলাশয় থেকে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
যশোর শহর ও শহরতলিতে সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ভৈরব নদের অংশবিশেষ দখল করে পাটা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছে। আবার সরকারি দলের অপর একটি অংশ নদের বুক থেকে অবৈধ পাটা উচ্ছেদ করে ভৈরব নদের অবাধ পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা করার দাবি করে আসছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘যারা নদী দখল করে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে তারা কোনো দলের লোক হতে পারে না। প্রবহমান জলাশয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। যারা এ কাজ করছে তারা দলের নাম ব্যবহার করছে মাত্র। আইনশৃঙ্খলা কমিটির গত দুটি সভায় এ ব্যাপারে আমি জোরালো বক্তব্য দিয়েছি। পাটা উচ্ছেদ শুরু হওয়ায় আমি খুশি।’
যশোর অঞ্চলের নদ-নদী সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে দু-একটা পাটা উচ্ছেদ করা হলেও এ কার্যক্রম বেশিদিন চলে না। নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু তা না করায় প্রভাবশালীরা নদ-নদীর জমি দখল করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ পায়।