মোল্লাহাটে আ.লীগের ‘বিদ্রোহী প্রার্থীর’ ভোট বর্জন

হামলা, কর্মীদের হুমকি, মারধরসহ অনিয়মের অভিযোগ এনে পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মোতাহের হোসেন মোল্লা ভোট বর্জন করেছেন।
আজ রোববার সকাল ১০টায় মোল্লাহাটে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন এই চেয়ারম্যান প্রার্থী।
এ সময় মোতাহের হোসেন বলেন, কোনো কেন্দ্রে তাঁর এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া হামলা, কর্মীদের হুমকি, মারধরসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আরো বলেন, ‘প্রশাসনের ছত্রছায়ায় নির্বিঘ্নে ভোট চুরির উৎসব চালাচ্ছে বিরোধীপক্ষের লোকেরা।’ প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে বাগেরহাটের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে।
বাগেরহাট জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটের নয়টির মধ্যে পাঁচটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন চিতলমারীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। ফলে ছয় উপজেলার আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া বাগেরহাট সদর ও ফকিরহাট উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ফকিরহাটে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় তাঁরাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ বাগেরহাটের তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে। আট উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে বাগেরহাটের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটের নয়টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বাগেরহাট সদরের কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাটের নয় উপজেলার ৭৫টি ইউনিয়নের ৪৬৭টি কেন্দ্রে ১১ লাখ ১৩ হাজার ৩৫১ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে জানান এই রিটার্নিং অফিসার।