ফেলানী হত্যায় ন্যায়বিচার পাব : সালমা আলী
নারীর প্রতি সাম্প্রতিক সহিংসতা ও ফেলানী হত্যার বিষয়ে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি।
শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ, নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী। এ সময় কুড়িগ্রামের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রেহানা খানম বিউটি ও ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি মমিনুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ভৌমিকসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সালমা আলী বলেন, ‘কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ২০০৩ সালে পাচার হওয়া দুই বছর বয়সের আরিফা ও বিনা বিচারে ১২ বছর জেলে থাকা আশিকুর রহমান মিল্টনকে আইনি সহায়তায় ফেরত এনেছি। আমরা বর্তমানে বিএসএফের হাতে কাঁটাতারের বেড়ায় নির্মমভাবে হত্যার শিকার ফেলানীর মামলার আইনি সহায়তা করছি। বিএসএফের আদালতে ফেলানীর হত্যার ন্যায়বিচার না পাওয়ায় ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম ও সমিতির পক্ষে আমি নিজে বাদী হয়ে ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ভারতের কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিএসএফের মহাপরিচালককে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিট মামলা দায়ের করি। মামলাটি বিচারাধীন আছে। আমরা আশা করছি ন্যায়বিচার পাব।’
সংবাদ সম্মেলনে ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, ‘ফেলানী হত্যা মামলাটি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন আছে। গত ৬ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য থাকলেও দিনের কার্যতালিকায় না থাকায় শুনানি হয়নি। আগামীতে শুনানির দিন ধার্য করা হবে এবং এ মামলায় আমরা ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচারসহ তার পরিবারের ক্ষতিপূরণ পাব বলে আশা করছি। আমরা আশা করছি ভারত ও বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি সুদৃষ্টিতে দেখবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ভারত সরকারের কাছে মেয়ে হত্যার ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম।