সোনাগাজীর ওসি প্রত্যাহার, মামলার তদন্তে পিবিআই

ফেনীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহার রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হোসেনকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, ওসিকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় নুসরাত জাহানের ভাইয়ের দায়ের করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। এ সময় তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করেছে—এক ছাত্রীর এমন সংবাদে ভবনের চারতলায় যান তিনি। সেখানে বোরকা পরা চার-পাঁচ ছাত্রী তাঁকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে আনা শ্লীলতাহানির মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁর গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সম্পূরক এজাহার দাখিল করেছেন। নুসরাতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাটি নিয়ে ওসির দায়িত্বের অবহেলার অভিযোগ করা হয়।
এর আগে নুসরাতের মা বাদী হয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ তাঁকে ২৭ মার্চ গ্রেপ্তার করে। তিনি এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
নুসরাত এবার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচএসসি সমমান) পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মাওলানা এ কে এম মুসা মানিকের মেয়ে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।