গাংনীতে ৭ খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় একটি মামলায় শীর্ষস্থানীয় চরমপন্থী সংগঠন লাল্টু বাহিনীর প্রধান নুরুজ্জামান লাল্টুসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় ১৯ আসামিকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক টি এ মুসা এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগীয় প্রধান চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরুজ্জামান লাল্টু, গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামের ইউনুছ আলী মাস্টার ও ভাই ইকরামুল হক এবং একই গ্রামের মাসুদুর রহমান ও আবুল কাশেম। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৯ আগস্ট রাতে গাংনী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন মোল্লা ও তাঁর তিন ছেলে এবং পাশের জালশুকা গ্রামের শওকত আলীসহ তাঁর পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন জালশুকা গ্রামের নিহত শওকত আলীর ছেলে জালাল উদ্দীন এবং আড়পাড়া গ্রামের নিহত আলতাফ হোসেন মোল্লার চাচাতো ভাই মহির উদ্দীন বাদী হয়ে বাহিনী-প্রধান নুরুজ্জামান লাল্টুসহ ২৪ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা করেন। একটি মামলা অনেক আগে নিষ্পত্তি হয়। আজ শওকত আলীসহ তাঁর পরিবারের তিনজনকে হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়।
তিন খুন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কাজী শহিদুল হক। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম শফিকুল আলম।
এদিকে মামলার বাদী জালাল উদ্দীন ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন, তাঁরা আদালতের কাছে সুবিচার পাননি। শিগগিরই মামলা নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।