খোকা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত : বিএনপি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/20/photo-1445355785.jpg)
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। বিএনপি মনে করে এই রায়ে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।
urgentPhoto
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এই মামলায় তাঁকে (সাদেক হোসেন খোকা) পলাতক দেখিয়ে বিচার করলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁর কিডনির ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং তিনি এখনো সেখানে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। এমতাবস্থায় উচ্চ আদালতের রায় বাতিল না করে নিম্ন আদালতে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শুরুটাই ছিল আইন বহির্ভূত।’
আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ‘যেখানে দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা পড়া ২৩ হাজার মামলা প্রভাবশালীরা ‘দায়মুক্তি’ নিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন, বেসিক ব্যাংকসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকে যারা লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মাসাৎ করে সমাজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, সেখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনের লম্বা হাত তাদের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারেনি।’
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সাদেক হোসেন খোকা আইনের চোখে কোনোভাবেই পলাতক নন, কারণ তিনি উচ্চ আদালতের রায় নিয়েই চিকিৎসা নিতে বিদেশে গেছেন। আদালত তাঁকে যেতে যেমন অনুমোদন দিয়েছেন, দেশে ফিরতেও তাঁকে কোনো বাধা না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সাদেক হোসেন খোকা সুস্থ থাকলে অবশ্যই তিনি আইন মেনে বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতেন। যেখানে একজন মুক্তিযোদ্ধার চাকরি দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়, সেখানে একজন অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ছয় মাসের সময় প্রার্থনা করেও নিম্ন আদালত থেকে তার মুঞ্জুরি পাননি।’
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ‘আদালতের গোটা বিচার প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য ছিল সাদেক হোসেন খোকাকে হয়রানি করা, তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা এবং তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা। এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক গতিতে সম্পন্ন করেছে এবং তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থেকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করে এক তরফা রায় দেওয়া হয়েছে।’