মানবতাবিরোধী অপরাধে জামালপুরের আটজনের বিচার শুরু
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/26/photo-1445844585.jpg)
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের আটজনের বিষয়ে অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো। আগামী ১৮ নভেম্বর এ বিষয়ে সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট ও মরদেহ গুমের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে ২৬ অক্টোবর আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তিবল। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট গাজী তামিম ও মশিহুজ্জামান।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আট রাজাকারের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগে বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আটক দুজনের বিরুদ্ধে তিনটি করে অভিযোগ রয়েছে। আগামী ১৮ অক্টোবর সূচনা বক্তব্য শুরু হবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী তামিম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুজনের পক্ষে আমি আইনজীবী হিসেবে ছিলাম। তাঁদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ রয়েছে।’
আট আসামির মধ্যে অ্যাডভোকেট শামসুল আলম ওরফে বদর ভাই ও এস এম ইউসুফ আলী গ্রেপ্তার রয়েছেন। বাকি ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন। তাঁরা হলেন আলবদর বাহিনীর উদ্যোক্তা মো. আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আবদুল হান্নান, মো. আবদুল বারী, মো. হারুন ও মো. আবুল কাসেম। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তাঁরা কেউ এখনো আত্মসমর্পণ করেননি বা গ্রেপ্তার হননি।
গত ২৯ এপ্রিল ওই আট আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট ও মরদেহ গুমের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনার ৩৪ জন ও জব্দ তালিকার ছয়জনসহ মোট ৪০ সাক্ষী আট আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন।
আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া অ্যাডভোকেট শামসুল আলম জামালপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির এবং এস এম ইউসুফ আলী সাবেক জামায়াত নেতা।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ মার্চ আশরাফ হোসেনসহ ওই আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-২। পরোয়ানা জারির পর ওই দিনই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে জামালপুর শহরের নয়াপাড়ার নিজ বাড়ি থাকলে শামসুল হককে ও ফুলবাড়িয়ার একটি কলেজের প্রাঙ্গণ থেকে ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।