মাদারীপুরে জোড়া খুনের দায়ে চারজনের ফাঁসি

মাদারীপুরের রাজৈর থানায় জোড়া খুনের দায়ে চারজনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরো একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আটজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দীন এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন মহিউদ্দিন হাওলাদার, সোহাগ হাওলাদার, হালিম সর্দার ও হাবি শিকদার। এর মধ্যে মহিউদ্দিন ও সোহাগ পলাতক রয়েছেন।
বিচারক রায়ে শামসুল হক হাওলাদার নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। অবশ্য তিনি মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।
এ ছাড়া আসামি হিরু হাওলাদার, রফিক হাওলাদার, কাইয়ুম শিকদার, টুটুল হাওলাদার, জিন্নাত খান, ইদ্রিস শেখ, জাহাঙ্গীর শিকদার, মোস্তফা হাওলাদারকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও মোস্তফা পলাতক।
বাকি যাঁরা আদালতে হাজির ছিলেন, তাঁদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং যাঁরা পলাতক, তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।
অন্যদিকে এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ১৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।
২০০৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার পশ্চিম স্বরমঙ্গল এলাকায় ঈদুল আজহার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সিরাজুল হকের সমর্থক সৈয়দ আলী মোল্লা ও সোলেমান মোল্লাসহ ৩৬ জনকে গুলি করেন।
ঘটনাস্থলে সৈয়দ আলী মারা যান আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোলেমান মোল্লা। ওই ঘটনায় আইয়ুব আলী বাদী হয়ে রাজৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তী সময়ে ২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট মাদারীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
২০০৫ সালের ১১ অক্টোবর বিচারক অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। দীর্ঘ এক যুগ পর আলোচিত এ মামলার রায় দিলেন বিচারক।