আরিয়ান শ্রাবণ ৫ দিনের রিমান্ডে, সেই রামদা উদ্ধার

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আরিয়ান শ্রাবণের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আজ সোমবার ভোররাতে আরিয়ান শ্রাবণকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ঠিক কখন কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ‘তদন্তের স্বার্থের’ তা জানায়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, বরগুনায় রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত একটি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে বরগুনার সরকারি কলেজ ক্যান্টিনের পূর্ব পাশের ডোবা থেকে রামদাটি উদ্ধার করা হয়। এই রামদাটি দিয়েই প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে রিফাত ফরাজীসহ অন্যরা।
হুমায়ুন কবির আরো জানান, আজ ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে রিফাত শরীফ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরিয়ান শ্রাবণ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাসা বরগুনার বাজার সড়কে। তার বাবার নাম ইউনুস সোহাগ। এ নিয়ে এ মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত ১ জুলাই আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা তানভীর একই আদালতে স্বেচ্ছায় রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এরপর গত ৪ জুলাই রিফাত হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ৫ জুলাই একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া ও তদন্তে বেরিয়ে আসা অভিযুক্ত মো. সাগর ও নাজমুল হাসান।
এদিকে এ মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজী সাত দিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সোমবার তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া এ মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত সাইমুন ও রাফিউল ইসলাম রাব্বি পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছে।