রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড : তৃতীয় দফায় রিমান্ডে সাইমুন

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার সাইমুনের তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সাইমুনকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃতীয় দফায় সাইমুনকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এর আগে গত ১ জুলাই সোমবার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা তানভীর একই আদালতে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এরপর গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রিফাত হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরদিন শুক্রবার একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া ও তদন্তে বেরিয়ে আসা অভিযুক্ত মো. সাগর ও নাজমুল হাসান।
এদিকে এ মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার সকালে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর নয়ন বন্ডের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের হত্যা ও অস্ত্র আইনে করা দুটি মামলায় রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সাত দিন রিমান্ড শেষে পুলিশের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছে রিফাত ফরাজী।
এছাড়াও এ মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় এবং সন্দেহভাজন অভিযুক্ত রাফিউল ইসলাম রাব্বি ও আরিয়ান শ্রাবন পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছে।
গত ২৬ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে কলেজ থেকে ফেরার পথে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ একদল যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো দা দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রিফাতের স্ত্রী আয়শা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন; কিন্তু তাদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ পরদিন সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন।