জরাজীর্ণ স্কুল, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থী

স্কুলভবনে তিনটি কক্ষ। শিক্ষার্থী ২৪৯। ভবনের ভেতরে-বাইরের দেয়ালের পলেস্তারা পড়ছে খসে। আতঙ্ক নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। বড় বিপদের শঙ্কা মাথায় নিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নাম রায়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে টিনের ঘর স্থাপন করে চলে শিক্ষা কার্যক্রম। পরে ১৯৯৪ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চার লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে স্কুলের ভবন নির্মাণ করে। দীর্ঘ এ সময়ে সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে স্কুলের ভবনটি একেবারেই অকেজো হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, ‘ভবনটির দেয়াল যেভাবে ধসে পড়ছে, তাতে আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।’
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিদ্দিক মাতুব্বার বলেন, ‘ভবনটি যেভাবে ভেঙে যাচ্ছে, তাতে বড় ধরনের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা স্কুলের নতুন ভবনের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করেছি। এরই মধ্যে রায়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুরুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউসুফদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জগন্নাথদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গারদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংহপ্রতাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যদুনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যদুনন্দী পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড় খারদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি ভবনের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে তথ্যসহ তালিকা পেশ করা হয়েছে। খুব শিগগির বিদ্যালয়গুলো নতুন ভবন পেয়ে যাবে বলে আশা করি।’