‘পরকীয়া করায় স্ত্রীকে খুন করেছি’, স্বামীর আত্মসমর্পণ

রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া কলার টিকর এলাকায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী শরিফুল ইসলাম রেন্টু (৩৬)। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে স্ত্রী লাভলী বেগমের (২৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে স্ত্রীকে হত্যার এক ঘণ্টা পর দামকুড়া থানায় আত্মসমর্পণ করেন শরিফুল।
শরিফুল ইসলাম পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক। তিনি পবা উপজেলার কলার টিকর গ্রামের বাসিন্দা। নিহত লাভলী একই উপজেলার সাইরপুকুর গ্রামের বাবলু মিয়ার মেয়ে।
দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শরিফুল তাঁর স্ত্রী লাভলী বেগমকে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রথমে মাথায় আঘাত করেন। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা ও পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এর এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে দামকুড়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন শরিফুল।
থানায় গিয়ে শরিফুল জানান, তাঁর স্ত্রী লাভলী পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন। এ কারণে তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়েছেন।
এরপরই পুলিশ শরিফুলকে আটক করে। পরে আজ সকালে শরিফুলের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর স্ত্রী লাভলী বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নিহত লাভলীর বাবা বাবলু মিয়া দামকুড়া থানায় শরিফুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় শরিফুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ওসি মাজহারুল ইসলাম আরো জানান, কয়েক বছর আগে লাভলীকে বিয়ে করেন শরিফুল। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল একই উপজেলার বায়া ভোলাবাড়ি গ্রামের আয়নাল হক তাঁর স্ত্রী সাফিয়া খাতুন বুলবুলিকে গলা কেটে হত্যা করেছিলেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালত আয়নাল হককে ফাঁসির আদেশ দেন। রায় দেওয়ার সাড়ে ১৪ ঘণ্টা পর গতকাল একই উপজেলায় আবারও স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটল।