বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যায় রিশান ফরাজীর জবানবন্দি

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার তিন নম্বর আসামি মো. রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী। পাঁচ দিনের রিমান্ডের চার দিন শেষে আজ সোমবার বিকেলে তাকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর কাছে জবানবন্দি দেন রিশান। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চার দিন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রিশানকে আদালতে হাজির করা হলে রিশান ফরাজী রিফাত শরীফ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার সকালে এ মামলার তিন নম্বর আসামি রিশান ফরাজীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে পাঁচ দিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন। রিশানসহ ১৫ জন অভিযুক্তই রিফাত হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলার এজাহারভুক্ত চারজন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।
গত ২৬ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে ফেরার পথে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ একদল যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো দা দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রিফাতের স্ত্রী আয়শা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন; কিন্তু তাদের থামানো যায়নি। খুনিরা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। এ হত্যার ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া রিশান ফরাজী রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীর ছোট ভাই। গত ২ জুলাই রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়।