খালেদা জিয়া দিন গুনুন, বাকি জীবন কারাগারে : হানিফ

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে দিন গণনা করতে এবং বাকি জীবন কারাগারেই কাটানোর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
আজ শনিবার মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাহবুব-উল আলম হানিফ এ কথা বলেন। ১০ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সকালে শুরু হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার পর আপনার আর রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। সারা বাংলার মানুষ মনে করে যে আপনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়ে গেছে।
এখন আপনার বাকি জীবন, এই হত্যার দায়ভার নিয়ে, ওই কারাগারে কাটাতে হবে। সেই জন্য আপনি মানসিক প্রস্তুতি নিন। আপনার দিন-সময় শেষ। আপনি এখন দিন গুনুন কবে আপনাকে কারাগারে ঢুকতে হবে এবং আপনাকে বাকি জীবন কারাগারে কাটাতে হবে এই মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য।’
‘আপনি রেহাই পাবেন না। কোনো কারণ ছাড়াই নিরীহ সাধারণ মানুষকে, নিষ্পাপ মানুষগুলোকে পেট্রলবোমা দিয়ে দিনের পর দিন আক্রমণ করে পুড়িয়ে হত্যা করবেন আর আপনি রেহাই পাবেন-এটা ভাবনার কোনো কারণ নেই।’
আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য আরো বলেন, খালেদা জিয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। হরতাল-অবরোধে তাঁর দলের লোকজনের ব্যবসা-বাণিজ্য ও চলাফেরা বন্ধ হয়নি। তিনি সাধারণ মানুষকে ঘরে আটকে রাখতে চান। তাই পেট্রলবোমায় সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিয়াজান আলীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল প্রমুখ।
সকালে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ড-মহল্লা থেকে নেতা-কর্মীরা বাদ্য-বাজনাসহকারে মিছিল নিয়ে শহরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে সম্মেলনস্থলে আসতে থাকেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের মতামত অথবা ভোটের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হবে। ২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
জেলার তিনটি উপজেলার মধ্যে মুজিবনগর ও সদর উপজেলা কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। জেলা সম্মেলনের পর গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।