রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় কলেজ চত্বর থেকে তুলে নিয়ে শামসুল ইসলাম নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছেন একই সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার উপজেলা সদরের শাহদৌলা সরকারি কলেজ চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রলীগ নেতা শামসুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বিকেলে তিনি বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগ নেতা শামসুল ইসলাম জানান, আজ বেলা ১১টায় ক্লাস শেষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের অফিসকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বাঘা পৌর এলাকার মোশারফ কমিশনারের ছেলে সবুজ, তাঁর সহযোগী জাহিদ, এলিটসহ অজ্ঞাত আরো আট থেকে ১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাঁকে জোর করে কলেজ থেকে ঈদগাহ মাঠে তুলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি পেটায়। ঘটনার একপর্যায় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, গত সপ্তাহে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহাগের নেতৃত্বে তাঁর ছেলেরা শাহদৌলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সবুজকে মারপিট ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনার জের ধরে সোহাগের সহযোগী শামসুলকে সোমবার সকালে মারপিট করা হয়।
তবে সোহাগ দাবি করেছেন, বিষয়টি তিন দিন আগে স্থানীয়ভাবে বসে দলের শীর্ষ নেতারা আপস করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহদৌলা কলেজের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষ স্যার ঢাকায় আছেন। বিষয়টি তাঁকে ও পুলিশ প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক জানানো হয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে ওই ছাত্রকে দেখতে গিয়েছিলাম। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।