বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিজয় ছিনিয়ে আনতে কারাবন্দি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন দলটির খুলনার নেতাকর্মীরা। আজ রোববার বিকেলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় তিন দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত জমায়েত ও সমাবেশে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বক্তারা।

দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারলেই ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটবে। আর তাহলেই হারানো ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক সব অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। এ জন্য তাঁরা একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্ততি নিতে তৃণমূল কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বৈরি আবহাওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বৃহত্তর আকারে কর্মসূচি পালনের প্রস্ততি থাকলেও তা সংক্ষিপ্ত করতে হয়। নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে খণ্ডখণ্ড মিছিল সমাবেশে এসে যোগ দেয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশালাকৃতির ছবি র‌্যালির জন্য প্রস্তত রাখা হয়। র‌্যালিতে বহনের জন্য জাতীয় ও দলীয় পতাকা রাস্তার দুই ধারে সজ্জিত রাখা হয়। ব্যান্ডের তালে তালে পরিবেশিত হয় ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানের সুর। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়নি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই। তিনি বেলুন, ফেস্টুন ও কবুতর উড়িয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন। এরপর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ আজ অবধি বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির যেসব নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন এবং স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন তাঁদের সবার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া করা হয় কারবন্দি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আশু সুস্থতার জন্য। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দল নেতা মাওলান শফিকুল ইসলাম।

এ ছাড়া সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, নগরের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলার সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান। সমাবেশ পরিচালনা করেন আসাদুজ্জামান মুরাদ ও ওহেদুজ্জামান রানা।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, সাইফুর রহমান মিন্টু, ডা. আব্দুল মজিদ, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা, রেহানা আক্তার, অ্যাডভোকেট তছলিমা খাতুন ছন্দা, মেহেদী হাসান দীপু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শামীম কবির, একরামুল হক হেলাল, তৈয়েবুর রহমান, উজ্জ্বল কুমার সাহা, মুজিবর রহমান, কবীর হোসেন, শরিফুল ইসলাম বাবু, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি প্রমুখ।