খুলনায় ‘ধর্ষণের’ পর প্রেমিকা অন্তঃসত্ত্বা, সেই শিঞ্জন রায়ের জামিন

খুলনার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা করার মামলায় গ্রেপ্তারের ২৫ দিনের মাথায় শিঞ্জন রায়কে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার খুলনা মহানগর ও দায়রা জজ মো. শহীদুল ইসলামের আদালতে সেই প্রেমিকা হাজির হয়ে ‘জামিনে আপত্তি নাই’ এমন লিখিত অঙ্গীকারনামা দিলে এই জামিন মঞ্জুর হয় বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
শিঞ্জন রায় খুলনার কর কমিশনার সুশান্ত কুমার রায়ের ছেলে। প্রেমিকা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকার পরও ১৪ আগস্ট অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন শিঞ্জন রায়। ১৬ আগস্ট তাঁর বৌভাতের আগের দিন প্রেমিকার করা মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ মামলায় তিনি খুলনা জেলা কারাগারে আটক ছিলেন। গতকাল শনিবার থেকেই মিডিয়াপাড়ায় নানা কথা চাউর হয়ে যায় যে, রোববার কর কমিশনারের ছেলের জামিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার সঙ্গে নানা গুজবের ডালপালা।
শিঞ্জন রায়ের অন্যতম কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রজব আলী জানান, রোববার এ মামলার জামিনের শুনানির ধার্য ছিল। আদালতে শিঞ্জন রায়ের অনুপস্থিতিতে জামিনের শুনানি শুরু হয়। এ সময় মামলার বাদী শিঞ্জন রায়ের প্রেমিকা, তাঁর মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। বাদী লিখিতভাবে আদালতকে জানান, আসামি শিঞ্জন রায়ের জামিন দিলে তাঁর কোনো আপত্তি নেই।
অ্যাডভোকেট রজব আলী জানান, বাদীর সঙ্গে তাঁর কী সমঝোতা হয়েছে তা তাঁর জানা নেই। তবে বাদী মামলা করে ভুল করেছেন তা বলতে পারেননি।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন দেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট কে এম ইকবালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, তিনি কিছু জানেন না। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার মহানগর ও দায়র জজ আদালতের রয়েছে। তাঁকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান কিছু জানাননি।
ওসি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আপনার কাছে প্রথম শুনলাম যে জামিন হয়েছে। আমি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলব।’