খুলনায় শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যা : দুজনের মৃত্যুদণ্ড

খুলনার খালিশপুরের বাস্তহারা কলোনির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশু আফসানা মিমিকে (১৩) গণধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মহিদুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন খালিশপুরের বাস্তহারা এলাকার মো. বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা বাবুল (৩৮) ও এমদাদ হোসেন (৩৭)।
এ মামলায় খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন খালিশপুরের বাসিন্দা মো. আশা মিয়া (২২), মো. জাহাঙ্গীর আলি (২৪), মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ (৪০) ও মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করবেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোমিনুল ইসলাম।
অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, শিশু আফসানা মিমিকে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়ে দুইজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার বাদী মিমির বাবা মো. ইমাম হোসেন এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আসামিদের দ্রুত মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়নের দাবি জানান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে খালিশপুর থানার বাস্তহারা কলোনীর বাসিন্দা মো. ইমাম হোসেনের ১৩ বছরের শিশুকন্যা আফসানা মিমি ঝাঁলমুড়ি কিনতে যায়। কিন্তু অনেক সময় পরেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ইমাম হোসেন রাতেই খালিশপুর থানায় জিডি করেন।
পরের দিন বিকেল ৩টার দিকে মাদ্রাসার খাদেম কুদ্দুস আফসানা মিমির লাশ বাস্তহারা দিঘিতে পেয়ে ইমাম হোসেনকে খবর দেন। এ ঘটনায় ইমাম হোসেন খালিশপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ইমাম হোসেন এজহারে উল্লেখ করেন এলাকার কালা বাবুল, কাদের ও এমদাদসহ অন্যান্যরা তাঁর মেয়ে আফসানা মিমিকে উত্ত্যক্ত করত।
২০১০ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মোকাদ্দেশ আলি আদালতে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় ১৮জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষ্য দেন।