সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে আটক ১৫

সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগেই ১৫ জন নেতাকর্মীকে গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে আগামীকালের সমাবেশের প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন শহরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন তরান্বিত করার জন্য গণতন্ত্রের আন্দোলনের জন্য আমাদের যে বিভাগীয় শহরে সমাবেশ হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উদ্যোগে, তারই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ইনশা আল্লাহ সিলেটে আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দ এখানে সবাই উপস্থিত, সিলেট জেলা মহানগর সেই সঙ্গে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সবাই এখানে উপস্থিত আছেন। আমরা কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে প্রশাসনের কাছে শুধু খালি রেজিস্ট্রি ময়দান নয়, তিনটি জায়গায় জনসভা করার জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেছি। কিন্তু একটা গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি সভা-সমাবেশ করা এটা সবার অধিকার। এটা করার জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই। কিন্তু তারপরও আজকে গণতন্ত্র যে অবস্থায় আছে সেটা আপনারা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। যার জন্য আমরা তাদের জানিয়েছি, তাদের অবহিত করা হয়েছে। এখন আমাদের কার্যক্রম পুরো উদ্যমে চলছে। ইনশা আল্লাহ আগামীকালকে আমরা প্রশাসনের এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আশা করি, সর্বত্রই চট্টগ্রামে, বরিশালে ও খুলনায় যে রকমভাবে আমরা সহযোগিতা পেয়েছি সিলেটেও হজরত শাহজালাল, শাহ পরানের এই পবিত্র জায়গায় ইনশা আল্লাহ পাব।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমাদের ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গতকালকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনকি আমাদের নেতাকর্মীরা কোথাও যদি বসে কালকের মিটিংয়ের ব্যাপারে, কীভাবে মিটিংটা করবে আলোচনা সফল করবে, সেগুলো যদি করতে হচ্ছে কোথাও কোথাও ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা মনে করি, শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকেরা খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে তরান্বিত করার জন্যে এ সমস্ত ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে ইনশা আল্লাহ এই জনসভা সাফল্যমণ্ডিত করবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিলেট নগরীর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। এমনকি পরিবহন মালিকদেরও সমাবেশস্থলে না যেতে বলা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও দেশব্যাপী সরকারের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এই সমাবেশে লাখো মানুষ অংশগ্রহণ করবে। সেই ভয়েই সরকার সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের জেলা ও মহানগর ইউনিটের নেতারা।