বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আরো দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, ‘জাতীয় স্বার্থে সমুদ্র এলাকার সার্বভৌমত্ব ও সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি সুনীল অর্থনীতির সুফল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আরো দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলে দেশবাসী প্রত্যাশা করে।’
আজ বুধবার দুপুরে খুলনায় বানৌজা তিতুমীরকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এ কথা বলেন।
বানৌজা তিমুমীর ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এসে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল অ মমম আওরেঙ্গজেব তাঁকে স্বাগত জানান। নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, অন্য আসনের সংসদ সদস্যরা, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বানৌজা তিতুমীরকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান উপলক্ষে জাতীয় পতাকা দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘১৯৭৪ সালে ১০ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিতুমীর নৌঘাঁটির কমিশনিং করেন এবং এ ঘাঁটিকে নেভাল এনসাইন দেন। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান নৌঘাঁটি হিসেবে বানৌজা তিতুমীর বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে আসছে। দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে খুলনা নৌঅঞ্চলে অবস্থিত অন্য ঘাঁটি এবং জাহাজসমূহের প্রশাসনিক ও লজিস্টিক্স সহযোগিতাসহ প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। নৌবাহিনীর নবীন নাবিক সৃষ্টির দক্ষ সূতিকাগার হিসেবে এই ঘাঁটি সুখ্যাতি অর্জন করেছে। এই ঘাঁটির অধীনে পরিচালিত স্কুল অব লজিস্টিক্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এবং নেভাল প্রভোস্ট অ্যান্ড রেগুলেটিং স্কুল নাবিকদের বিভিন্ন পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুগপোযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছে।’
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সামরিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নৌবহরে সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাজের পরিধি দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ফলে আমরা অর্জন করেছি বিশাল এক সামুদ্রিক এলাকার ভৌগলিক অধিকার যা প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ । এছাড়া আমাদের রয়েছে ৭১০ কিলোমিটার বিস্তৃত উপকূল, যেখানে প্রায় তিন কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকার জন্য সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। সমুদ্রপথেই দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯০ ভাগের বেশি পরিচালিত হয়ে থাকে। তাই জাতীয় স্বার্থে সমুদ্র এলাকার সার্বভৌমত্ব ও সার্বিক নিরাপত্তার পাশিাপাশি সুনীল অর্থনীতির সুফল নিশ্চিত করতে নৌবাহিনীকে আরো দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবে। আর দেশবাসী তা প্রত্যাশা করে।’