স্ত্রী-সন্তানকে নদীতে ফেলে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

স্ত্রী ও ১৪ মাস বয়সী শিশু ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে খুলনার রূপসা নদীতে ফেলে হত্যার দায়ে স্বামী অন্তর হোসেন রমজানকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মসিউর রহমান চৌধুরী আজ বুধবার বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট এনামুল হক জানান, ২০১৭ সালের ২৭ জুন রাতে বরিশাল যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী তৈয়েবা খাতুন ও শিশু ছেলে আবদুর রহিমকে খুলনা মহানগরের খান জাহান আলী ব্রিজের ওপর নিয়ে আসেন অন্তর হোসেন। এরপর রাত ৯টার দিকে স্ত্রী ও ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে রূপসা নদীতে ফেলে হত্যা করেন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা এ সময় অন্তর হোসেনকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ নদী থেকে তৈয়েবা খাতুন ও শিশু আবদুর রহিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত তৈয়েবা খাতুনের মা রশিদা বেগম বাদী হয়ে রূপসা থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জন সাক্ষ্য দেন। আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত। এ সময় আদালতে আসামি অন্তর হোসেন রমজান উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণা কালে জেলা ও দায়রা জজ মসিউর রহমান বলেন, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তির অর্থ দণ্ড কেন প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু যেহেতু আইনে রয়েছে তাই তিনি মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রায় পাঠকালে বিচারক বলেন, যে ব্যক্তি নিজ স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে হত্যা করতে পারে, তার জন্য মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো রায় হতে পারে না।
রায় ঘোষণার পর বিচারক আসামির কাছে জানতে চান তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন কি না?
আসামি আপিল করার জন্য হ্যাঁ সূচক জবাব দিলে বিচারক রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আপিল করার জন্য সময় বেঁধে দেন।