সৌদিতে নারী কর্মীদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

সৌদি আরবে বাংলাদেশি নারী কর্মীদের সুরক্ষায় সরকার সব রকমের পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
আজ বুধবার বিকেলে সিলেট কবি নজরুল মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কর্মসংস্থানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘নারী শ্রমিকদের ব্যাপারে খুব সিরিয়াসলি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি তো দুই সপ্তাহ আগেই সৌদিতে ছিলাম। এটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। আবার নভেম্বর মাসে মিটিং আছে ওদের সঙ্গে। নারী শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন আমরা হাত দিচ্ছি। ওদের আইনকানুন এবং আমাদের আইনকানুনের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। ওদের আইনকানুনের ব্যাপারে তো কিছু বলতে পারি না। কিন্তু পলিটিক্যাল বা ডিপ্লোমেটিক প্রেসার দিলে আমি আশা করি সমাধান হয়ে যাবে।’
এজেন্সিদের সমস্যা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখান থেকে যারা নারী কর্মী পাঠায় ওরা কিন্তু ভালোমতো বাছাই করে পাঠায় না। ওখানে তো নিয়ম আছে ২৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে পাঠাতে পারবেন। কিন্তু এখান থেকে পাঠায় ১৬ বা ১৭ বছরের আর দেখায় ২৫ বছর। এজন্য ওখানে এদের বেশি সমস্যা হয়ে যায়। এখন ম্যাক্সিমাম হয় কী ওদের যে কাগজপত্র আছে সেটা তাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়। রিক্রুটিং এজেন্সি যারা আছে তাদের টার্গেট হলো একজনকে পাঠাতে পারলে দুই হাজার ডলার পেয়ে যাবে। ওদের হিসাব সোজা ওইটাই। এর মধ্যে থেকে নেট রেজাল্ট হলো ওই মেয়েদের ট্রেনিং, অভিজ্ঞতা বা লেখাপড়া না থাকায় সেখানে গিয়ে ফেঁসে যায়। যার জন্য তাদের আবার ফেরত আসতে হয়। এই ফেরত আসা নিয়েই যে রিক্রুটিং এজেন্সি কোম্পানি আছে তাদের ফাইন দিতে হয়। এখন এ নিয়ে লাগে গোণ্ডগোল।’
এ সমস্যার সমাধান কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘সমাধান হবে। আমি কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে কিছু কিছু হয়তো শুনেছেন। ওখানে কিন্তু আবহাওয়া এখন পরিষ্কার হয়েছে। দোয়া করবেন ইনশা আল্লাহ সবকিছু পরিষ্কার হবে।’