খুলনায় যুবলীগের কেউ অপকর্মে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা

যুবলীগের কেউ কোনো ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে তদন্তের মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্ধারণ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার মহানগর যুবলীগের প্রথম কার্যকরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলের সদস্য আব্দুল কাদের শেখ এক ইমেইল বার্তায় জানিয়েছেন।
দলের প্রথম এ সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক।
মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নের জন্য দেশে দুর্নীতিমুক্ত অভিযান চলছে। কোনোভাবেই অনিয়ম ও দুর্নীতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য মূল ভূমিকা নিতে হবে আমাদের যুব সমাজকে। আমি একটি কথাই বলতে চাই, খুলনা মহানগর যুবলীগের ভেতর যাতে করে কোনো মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও দখলবাজরা স্থান না পায় এবং কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা নিতে না পারে।’
খুলনা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুর রহমান পলাশ বলেন, ‘খুলনার যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত একটি কর্মমুখি যুবসমাজ গড়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী হচ্ছে যুবক। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে আজ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার যে স্বপ্ন দেখছেন সেটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আমাদের এই যুবসমাজকেই মূল ভূমিকা রাখতে হবে। আজ আমরা দেখছি আমাদের এই যুব সমাজ বিভিন্নভাবে বিপথগামী। আমাদের এই নতুন কমিটির মূল লক্ষ্য হবে খুলনার এই বিপুল যুবগোষ্ঠীকে সঠিক পথের দিকে বাহিত করে তাদের কর্মমুখী করে গড়ে তোলা এবং তাদের মধ্য থেকে সঠিক নেতৃত্ব বের করে আনা।’
আজ শনিবার সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন।
এ সময় সুজন বলেন, ‘আমরা আগেও আমাদের সঙ্গে কোনো বিতর্কিত লোককে প্রশ্রয় দেইনি আর ভবিষ্যতের দিব না। খুলনার যুবসমাজকে আমরা একটি ব্রান্ড ইউনিট হিসেবে পরিণত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্য এমএম হাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের শেখ, অ্যাডভোকেট আল আমিন, মো. আবুল হোসেন, কাজী কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম দুলু, শওকত হোসেন, শেখ মো. আলী, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, কবির পাঠান, তাজুল ইসলাম, মোস্তফা শিকদার, কাজী ইব্রাহিম মার্শাল, জুয়েল হাসান দিপু, মহিদুল ইসলাম মিলন, মশিউর রহমান সুমন, মেহেদী মোড়ল, কে এম শাহীন, ইয়াসিন আরাফাত ও রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।
এ সময় খুলনা মহানগর যুবলীগের নেতাদের সর্বসম্মতিক্রমে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এগুলোর মধ্য যুবলীগের কেউ কোনো ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। যেসব ওয়ার্ড যুবলীগের কমিটির মেয়াদ তিন বছরের বেশি তার তালিকা প্রস্তুত করা। দলের মধ্য শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্ধারণ। বর্ধিত সভার তারিখ নির্ধারণ। প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মিসভার তারিখ নির্ধারণ। নতুন কেউ আওয়ামী লীগের টিকিট নিতে চাইলে আগামী সাত দিনের মধ্য মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের কাছে জানাতে হবে। যেহেতু প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মিসভা করা হবে সেজন্য কোনো ওয়ার্ড থেকে সংবর্ধনা নেওয়া হবে না। আগামী সাত দিনের মধ্য যেসব ওয়ার্ডে আওয়ামী যুবলীগের নামে ইউনিট অফিস রয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা মহানগর যুবলীগের কাছে জানানোর জন্য সভায় বলা হয়েছে।