সাবেক সংসদ সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা আবদুল আজিজসহ (৬৫) ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গাইবান্ধার ছয়জন ও মৌলভীবাজারের চারজনের বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সুমন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। শুধু আবদুল আজিজ পলাতক থাকায় তাঁর নাম প্রকাশ করা হলো।’ তিনি আরো বলেন, ‘আসামিদের বিরদ্ধে ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন গাইবান্ধা এলাকার ১৩ জন চেয়ারম্যান-মেম্বার হত্যাসহ দুটি অভিযোগ রয়েছে।’
এ ছাড়া হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের অভিযোগে মৌলভীবাজারের চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলেও জানান ব্যারিস্টার সায়েদুল হক।
জানা যায়, গত বছর সুন্দরগঞ্জে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে তদন্তকাজ শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ওই বছরের ২০ নভেম্বর থেকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জেড এম আলতাফুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল সুন্দরগঞ্জ ও পাশের এলাকায় বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তথ্য অনুসন্ধান করে। এর আগে ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থানায় সুন্দরগঞ্জের পাঁচগাছী শান্তিরাম গ্রামের মরহুম আলম উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান সরকার বাদী হয়ে জামায়াত নেতা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করেন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে আজিজার রহমানের বড় ভাই বয়েজ উদ্দিনকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগে ওই মামলা করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আবদুল আজিজসহ তাঁর সহযোগী কয়েকজন রাজাকার একাত্তর সালের ১০ নভেম্বর বয়েজ উদ্দিনকে আটক করে নির্যাতন চালায়। পরে সুন্দরগঞ্জ পাকিস্তানি সেনাক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে ধর্মপুর গ্রামের আকবর আলীকে হত্যার অভিযোগে জামায়াত নেতা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে মামলা করেন আনিছুর রহমান। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আরো বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।