সাখাওয়াতসহ নয়জনের অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির নেতা মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ১৭ নভেম্বর। আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। একইসঙ্গে পলাতক ছয় আসামির পক্ষে দুজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ সময় ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল-মালুম ও প্রসিকিউটর সুলতানা রেজিয়া। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর জেয়াদ-আল মালুম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাখাওয়াতসহ নয়জনের অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট শুক্কুর আলীকে আসামিদের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় সর্বমোট ১২ জন আসামি ছিলেন। এর আগে এ মামলার অন্য তিন আসামি আজহার মোড়ল, আকরাম হোসেন ও পলাতক মশিউর রহমান মানবতাবিরোধী অপরাধে সম্পৃক্ততা না থাকায় তাঁদের অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল।
তবে এ মামলার প্রধান আসামি যশোরের কেশবপুর আসনের সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনকে গত বছরের ২৯ অক্টোবর এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া যশোরের বিল্লাল হোসেন, লুৎফর মোড়লসহ আরো দুজনকে গত ১২ মে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ মামলার পলাতক ছয় আসামি হলেন- মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মো. মুজিবুর রহমান, মোহনপুর গ্রামের মো. আব্দুল আজিজ সরদার, বগা গ্রামের আব্দুল আজিজ সরদার, কাজী ওবায়দুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক মোড়ল।
সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে যশোরে একাধিক মামলা করা হয়। পরে ওইসব মামলা ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ১ এপ্রিল সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত করার জন্য নথিভুক্ত হয়। ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন আবদুর রাজ্জাক খান।
সাখাওয়াত ১৯৯১ সালে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জামায়াতের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায়ই তিনি জামায়াত ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন তিনি। ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করে পরাজিত হন সাখাওয়াত। এরপর ২০০১ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। পরে বিএনপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। পরে তিনি এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।