লোভ যেন ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করতে না পারে

কোনো ধরনের লোভ-লালসা বা হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থের মনোবৃত্তি যেন ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সেই গৌরবময় ঐতিহ্যকে ধারণ করে বর্তমান শিক্ষার্থীরা জাতি গঠনে অবদান রাখবে- জাতি তা প্রত্যাশা করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশ ও জাতির কল্যাণই হবে ছাত্র রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য দেন যবিপ্রবি উপাচার্য ড. আবদুস সাত্তার।
সমাবর্তনে স্নাতকোর ৫৪০ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ৬৪ জনসহ ৬০৪ জনকে সনদ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে আচার্য স্বর্ণপদক, পাঁচজনকে উপাচার্য স্বর্ণপদক ও ছয়জনকে ডিন পদক দেওয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের সুদূর প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি ও জনবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চলেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠাসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অর্জন আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত। আাদের লক্ষ্য এখন জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালে মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। এসব কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে গ্রাজুয়েট, গবেষক, শিক্ষকমন্ডলীসহ সমাজের গুণী ও বিদগ্ধ শ্রেণি সর্বোতভাবে সহযোগিতা করবেন বলে জাতি প্রত্যাশা করে।
ছাত্রছাত্রীদের সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে শিক্ষকদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশ ও জনগণের কাছে আমরা প্রত্যেকেই দায়বদ্ধ। পাবলিক শিক্ষার পরিবেশ ও সুনাম বজায় রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার।’
যবিপ্রবির আচার্য রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রবল প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও অগ্রসরমান এই বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তির বৈপ্লবিক বিকাশ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে তুলছে। এখন পৃথিবীতে যোগ্যতমের টিকে থাকার কথাটা কল্পনা নয়, অতি নির্মম ও সত্যও বটে। বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমাদের বিশ্বমানের কারিকুলাম ও পাঠ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।