সীমান্ত সম্মেলনে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ঘোষণা

পারস্পরিক বাণিজ্যিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণার মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমান্ত সম্মেলন। দুই দেশের জেলা প্রশাসক পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সোমবার দুপুরে সম্মেলনের শেষ দিন জেলার অভিজাত হোটেল গ্র্যান্ড সুলতানে এক সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এ ঘোষণা দেন। এ সময় জানানো হয়, বাণিজ্যিক ও পারস্পরিক যোগাযোগের লক্ষ্যে মৌলভীবাজারের শাহবাজপুর-লাতু সীমান্ত দিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেন লাইন চালু এবং সীমান্ত হাট চালুর বিষয়ে সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, মাদক, চোরাচালানসহ সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধ নিয়েও দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং শেষে কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সীমান্ত এলাকার নদীপার সংরক্ষণ, দুই দেশের সংস্কৃতি ও ক্রীড়াবিনিময়, সাজা শেষ হওয়া বন্দিবিনিময় ইত্যাদি বিষয় সীমান্ত সম্মেলনে উঠে আসে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল হাসান ও ভারতের কাছাড় জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্টেট (ডিএম) এস বিশ্বনাথন সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে জানান।
এ সময় সম্মেলনে দুই দেশের প্রশাসন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন, ৪১ বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলম চৌধুরী, ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাসির উদ্দিন, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) শাহজালাল, সিলেটের এসপি নূরে আলম মিনা, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শহিদুল হক প্রমুখ।
অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলে ছিলেন করিমগঞ্জের ডিএম সঞ্জিব কুমার গোহাইন, কাছাড়ের পুলিশ সুপার রাজভির সিংহ, করিমগঞ্জের পুলিশ কমিশনার প্রদীপ রঞ্জন কর, ৫৩ বিএসএফের কমান্ড্যান্ট অফিসার সঞ্জিব যোশি, শিলচরের এডিএম এম কে দাশ, কাছাড়ের এডিএম (রাজস্ব) এ আর শেখ, করিমগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রবীর দাশ চৌধুরী প্রমুখ।
গত শনিবার দুপুর পৌনে ২টায় ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সিলেটের বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এ সময় মৌলভীবাজার ও সিলেটের জেলা প্রশাসন ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের স্বাগত জানান।