পঞ্চম দফায় ভারতে গেলেন ২৬ বাসিন্দা

পঞ্চম দফায় স্থায়ীভাবে ভারত গেলেন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত দহলা খাগড়াবাড়ী, কোটভাজিনী ও বেহুলাডাঙ্গা এবং বোদা উপজেলার বিলুপ্ত দইখাতা ছিটমহলের ১০ পরিবারের ২৬ বাসিন্দা। আজ সোমবার এসব বাসিন্দা ভারতে পৌঁছান।
‘ট্রাভেল পাস’ পাওয়া ৪৯১ জনের মধ্যে ভারতে গেলেন সর্বমোট ৪৭৮ নাগরিক। আর মত পাল্টিয়ে বাংলাদেশেই থেকে গেলেন ‘ট্রাভেল পাস’ পাওয়া ১৩ নাগরিক।
শেষ মুহূর্তে স্থায়ীভাবে ভারত যেতে বিলুপ্ত দহলা খাগড়াবাড়ী, কোটভাজিনী ও বেহুলাডাঙ্গা এবং বোদা উপজেলার দইখাতা ছিটমহলের ২৬ বাসিন্দা বাংলাদেশ ছাড়ল। গতকাল রোববার বিকেলে মালামালসহ এসব বাসিন্দা দেবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে জড়ো হন। সেখানে তাঁরা রাতযাপন করেন।
বরাবরের মতো এবারও পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম তাঁদের বিদায় জানান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের সেকশন অফিসার শৈল কিশোর ও দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম সকাল সাড়ে ৯টায় একটি বাস ও দুটি ট্রাকে ভারতীয় নাগরিক ও মালামাল নিয়ে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে রওনা দেন। দুপুরের মধ্যেই তাঁরা নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি-হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে ১০টি পরিবারের ২৬ জনের সাত একর জমি ক্রয় করে সরকার। পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৬০ টাকা তাঁদের হাতে তুলে দেন।
এর আগে প্রথম দফায় জেলার সদর উপজেলার বিলুপ্ত হওয়া ছিটমহল গাড়াতি, বোদা উপজেলার বিলুপ্ত হওয়া ছিটমহল নাটকটোকা, বেহুলাডাঙ্গা, কাজলদীঘি ও নাজিরগঞ্জের ১৪টি পরিবারের ৪৮ জন, দ্বিতীয় দফায় দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত কোটভাজনী ও বালাপাড়া ছিটমহলের ২৮টি পরিবারের ১৪৭ জন, তৃতীয় দফায় বিলুপ্ত দহলা খাগড়াবাড়ী ছিটমহলের ৩০টি পরিবারের দুই নবজাতকসহ ১৫২ জন এবং চতুর্থ দফায় পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত দহলা খাগড়াবাড়ী ও বোদা উপজেলার দইখাতা ছিটমহলের ২১ পরিবারের ১০৫ নাগরিক স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ভারতে গেছেন।