হত্যা, নাশকতা মামলার আসামি পেলেন আ. লীগের মনোনয়ন

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে নাশকতার একাধিক মামলার আসামি তিনি। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলায় তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। রয়েছে মাদক চোরাকারবারি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ।
এমন একজন প্রার্থীকে রাজশাহীর পবা উপজেলার কাঁটাখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাঁর নাম আব্বাস আলী। অর্থের বিনিময়ে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতারা।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্য পড়েন পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন।
মোতাহার হোসেন অভিযোগ করেন, কাটাখালী পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বা সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে। এ জন্য কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হজরত আলী ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানার সহযোগিতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থাকা একজনকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাইয়ে দিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলীয় মনোনয়ন পাওয়া আব্বাস আলীকে শৃঙ্গলাভঙ্গের দায়ে আগেই আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরে নাশকতার একাধিক মামলা মতিহার থানায় রয়েছে। মামলা নম্বর ০৮, তারিখ : ০৭/১১/১০; মামলা নম্বর ১৩, তারিখ : ১৫/০৪/১৪; মামলা নম্বর ১৪, তারিখ : ১৪-০৮-২০১১ সহ আরো অনেক মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, দল মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আব্বাস আলী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এ ছাড়াও তিনি মাদক-চোরকারবারিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই তৎকালীন পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ্জাকুল ইসলাম জেলা প্রশাসক বরাবর আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবেদন দিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন বলেন, আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে এতগুলো অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অর্থের বিনিময়ে তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় কাটাখালী পৌরসভার আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা হতাশ ও আতঙ্কিত। জনগণ ও সাধারণ নেতা-কর্মীদের অনুরোধে তিনিসহ বাকি চার আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাই এ পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে পুনরায় বিবেচনার জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বঞ্চিত মেয়র পদপ্রার্থী পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সামা, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম ও কাটাখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।