সম্মেলনের এক বছর পর রাজশাহী মহানগর আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

সম্মেলনের এক বছর পর অবশেষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটেরিয়ামে নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় নবীণ-প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ২১ সদস্যের উপদেষ্টামণ্ডলীর নামও ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গত বছরের ২৫ অক্টোবর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ডাবলু সরকার নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিসহ ২১ সদস্যের উপদেষ্টার তালিকা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠান। অবশেষ সেই কমিটির অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আর গত ২৬ নভেম্বর দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের অনুমোদিত এ কমিটির তালিকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠান।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে আজকের পরিচিতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক ও অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান, রাজশাহী নাগরিক কমিটির সভাপতি ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন।
৭১ সদস্যের রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটিতে দুই নারীনেত্রী শাহীন আকতার রেনী ও নিঘাত পারভীনসহ নয়জনকে সহসভাপতি করা হয়েছেন।
অন্য সহসভাপতিরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, আলহাজ রফিক উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা ও আলহাজ মাহফুজুল আলম লোটন।
তিনজন যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন মোস্তাক হোসেন, রেজাউল ইসলাম বাবুল ও নাঈমুল হুদা রানা। তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন আজিজুল আলম বেন্টু, আসাদুজ্জামান আজাদ ও অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার।
এ ছাড়া অন্যান্য পদের মধ্যে আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোসাব্বিরুল ইসলাম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক জহির উদ্দিন তেতু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাইদুর রহমান রেন্টু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুল আলম বুলবুল, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, প্রচার সম্পাদক প্রভাষক কামরুজ্জামান, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক নকিবুল ইসলাম নবাব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ ওয়াহেদুন্নবী অনু, মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান রাজা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সিদ্ধার্থ শংকর, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এ এস এম ওমর শরীফ রাজীব, শ্রম সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক কামার উল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ ম আ জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দোলন, উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন ও কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন শামসুজ্জামান আওয়াল।
এ ছাড়া ৩৪ জন নির্বাহী সদস্য হলেন অ্যাডভোকেট মোজ্জাফফর হোসেন, আরিফা বেগম, সরিফুল ইসলাম বাবু, এহসানুল হক পিন্টু, নফিকুল ইসলাম সেন্টু, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, হাফিজুর রহমান বাবু, আখতারুল আলম, আতিকুর রহমান কালু, আব্দুস সালাম, নজরুল ইসলাম তোতা, আব্দুল রউফ, হাবিবুর রহমান বাবু, আলহাজ্ব শাফিকুজ্জোহা, এনামুল হক কলিন্স, কামরুজ্জামান কামরু, এ কে এম রাশেদুল হাসান টুলু, নিযাম উল আযীম, মোখলেসুর রহমান খলিল, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, আইরিন পারভীন, অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার মুক্তি, মুকিতুজ্জামান জুরাত, মোসফিকুর রহমান হাসনাত, আফসার আলী মাস্টার, রবিউল ইসলাম রবি, এ বি এম হাবিবুল্লাহ ডলার, মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন, আল মামুন, বেলাল হোসেন, ডা. এ টি এম শফিকুর রহমান ও খাজা আহম্মেদ।
উপদেষ্টারা হলেন অধ্যাপক মুহ. কায়েস উদ্দিন, অধ্যাপক ড. ওয়াজেদ আলী, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, কাজী জিয়ারত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম, প্রফেসর গোলাম কবির, অধ্যাপক রাশেদা খালেক, প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক, প্রশান্ত কুমার সাহা, মঞ্জুশ্রী রায়, প্রকৌশলী লুৎফর রহমান খোকন, অধ্যাপক ডা. এস আর তরফদার, নুরুল হুদা সরকার, মো. ওবাইদুল্লাহ, আলতাব উদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন শেখ ভুলু, আবেদা রায়হান বুলি ও মনিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির ৭১ সদস্যকে একটি করে চাদর ও বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্বলিত বই উপহার দেওয়া হয়।