চট্টগ্রামে সমবায় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসহযোগিতার কারণে বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্দর নগরী সুপার মার্কেটের আট শতাধিক সদস্য মানবেতর দিনযাপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে সমবায় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হয়। নগরীর লাভ লেইনের একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বন্দর নগরী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্য পড়েন সমিতির সদস্য কামাল আহমেদ। এ সময় আহমেদ হোসাইন মিলন, দিদারুল আলম ও ইঞ্জিনিয়ার হোসেন আহমেদ বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৯৬ সালে নগরীর হালিশহর ওয়াপদা মোড় এলাকায় বন্দর নগরীর সর্ববৃহৎ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বহুতল এ মার্কেটের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০ বছরে আটতলা নির্মাণের পর দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে না। তিন বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার নিয়ম থাকলেও সমবায় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে গত দুই দশকে কোনো নির্বাচন হয়নি। এ ছাড়া ৮০০ সদস্যের কাছ থেকে নেওয়া ৫৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে মার্কেটের নামে নতুন করে ব্যাংক থেকে পাঁচ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সমিতির সভাপতি আমিনুর রহমানের ছেলে বর্তমান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের একান্ত সচিব (পিএস) পরিচয় দিয়ে পুরো সুপার মার্কেট দখল করে রেখেছেন।
বন্দর নগরী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহামদুর হাসান বলেন, ‘উচ্চ আদালত এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলে আমি দায়িত্ব ছেড়ে দেই। কিন্তু জেলা সমবায় কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে সভাপতিসহ অন্য নয়জন এ সমিতির সম্পত্তি লুটপাট করছেন।’
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।