‘রাজন ও রাকিবের মতো আমার সন্তান হত্যারও দ্রুত বিচার চাই’

রাজন ও রাকিবের মতো শিশু অন্তর হত্যারও দ্রুত বিচার ও হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়েছেন তার বাবা কাফিরুল ইসলাম।
urgentPhoto
মেহেরপুরে শিশু অন্তর অপহরণের পর হত্যার ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও প্রধান আসামি সবুজসহ তাঁর সহযোগীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় সমাবেশ করেছে গ্রামবাসী। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে গাংনী উপজেলার বাওট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে কাফিরুল ইসলাম এ দাবি জানান।
সমাবেশে যোগ দেয় নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের মানুষ। শিশু অন্তর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি করে তারা। এ সময় অন্তরের বাবা কাফিরুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘রাজন ও রাকিবের মতো আমার সন্তান হত্যারও দ্রুত বিচার ও হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সমাবেশে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত শিশু অন্তরের মা বাদী হয়ে গাংনী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ও সৌদি আরব প্রবাসী কাফিরুল ইসলামের ছেলে অন্তরকে অপহরণ করে নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন প্রতিবেশী সবুজ। গ্রামবাসী টের পেয়ে সবুজকে আটকের চেষ্টা করলে তিনি পাশের বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে অন্তরকে ফেলে পালিয়ে যান। মুমূর্ষু অবস্থায় অন্তরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী অভিযুক্ত সবুজের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। পুলিশ গত শুক্রবার সবুজের খালু মিজানুর রহমান ও খালা রেক্সোনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। সবুজসহ তাঁর পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে।