সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার কাপাসডাঙ্গায়  পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত তিনজন। এ সময় গুলিবিদ্ধ তিনজনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব্যক্তির নাম আবু সাঈদ (৩৫)। তিনি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার আওয়ালগাতি গ্রামের বাসিন্দা। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন পটুয়াখালীর সুপখালী গ্রামের সুবেল খান, খুলনার ঘুগরাকাটি গ্রামের তরিকুল ইসলাম ও বাগালি গ্রামের আরিফুজ্জামান অনু। তাঁদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তার অন্য ব্যক্তিরা হলেন, পাটকেলঘাটার আচিমতলার আবুল কাসেম, তৈলকুপি গ্রামের সুমন ইসলাম, সেনপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম ও বান্দরবানের লামা উপজেলার লাইনঝিরি গ্রামের রবিউল ইসলাম।

পুলিশের দাবি, নিহত আবু সাঈদ একটি ডাকাতদলের সরদার। অন্যরা তাঁর দলের সদস্য। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, একটি রিভলবার ও কয়েকটি ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ।

জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, রোববার রাতে একদল ডাকাত খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কাপাসডাঙ্গায় রাকিব অটো রাইস মিলের কাছে গাছের গুঁড়ি ফেলে পরিবহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় এসআই মতিন ও এএসআই বেল্লালের নেতৃত্ব পাটকেলঘাটা থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি যৌথ টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি ও পরে বোমা ছুড়ে প্রতিহত করার চেষ্টা চালায়। 

এসআই আরো জানান, পুলিশও এ সময় পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ২০ মিনিট বন্দুকযুদ্ধের পর সড়কের ধারে চার ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাদের দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত  চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মৃত আবু সাঈদের বিরুদ্ধে যশোরের কেশবপুর ও সাতক্ষীরার পাটকেলগাটা থানায় ১১টি মামলা রয়েছে বলেও জানান এসআই। 

কামাল হোসেন জানান, ঘটনার সময় পুলিশ পলায়নপর আরো চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা কিছু মালামালও জব্দ করা হয়েছে। 

বন্দুকযুদ্ধের সময় ডাকাতদের ছোড়া বোমার আঘাতে পুলিশের এএসআই  ইসমাইল ও দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার সবার বিরুদ্ধে ডাকাতির চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলাবিষয়ক দুটি মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান কামাল হোসেন।