যশোরে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে জবাই করার হুমকি!

যশোর পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম কামরুজ্জামান চুন্নুকে জবাই করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন দলীয় মনোনীত প্রার্থীর কর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন কামরুজ্জামান চুন্নু। দলীয় মনোনীত প্রার্থীর কর্মীরা তাঁর কর্মীদের মারধর ও তাঁর পোস্টার পুড়িয়ে দেন এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন চুন্নু।
এ ব্যাপারে যশোর পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করে প্রতিকার চেয়েছেন জেলা আওয়ামী লগের সাবেক সহসভাপতি ও যশোর পৌরসভার দুবারের মেয়র এস এম কামরুজ্জামান চুন্নু।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যশোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রেন্টু বলেন, ‘এস এম চুন্নু আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত। ভোটারদের কাছ থেকে তিনি কোনো সাড়া না পেয়ে নিজেরাই নাটক তৈরি করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।’
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে কামরুজ্জামান চুন্নু বলেন, সব শ্রেণি-পেশার ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। সবাই প্রশ্ন করছেন, তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন কি না। জানতে চাচ্ছেন, ভোট দিতে পারবেন কি না। একজন প্রার্থীর পক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীরা নিয়মিত মহড়া দেওয়ায় ভোটারদের মধ্যে এ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
কামরুজ্জামান চুন্নু বলেন, গতকাল দুপুরে মরহুম আলতাফ ডাক্তারের বাসভবনের সামনে ওয়াপদা মোড়ে তাঁর লোকজন নির্বাচনী প্রচারের কাজ করছিল। ওখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজীপাড়ার তমালের (আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী জহিরুল ইসলাম রেন্টুর কর্মী) নেতৃত্বে আট-দশজন তাঁর ভ্যানওয়ালাকে ধরে পোস্টার ছিনিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাঁর কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে। আর তিনজন দৌড়ে আসে তাঁর ছেলেকে অপহরণ করার জন্য। সৌভাগ্যবশত তাঁর ছেলে তখন মোটরসাইকেলের ওপরে বসেছিল। সে দ্রুত মোটরসাইকেল চালু করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ওখানে চলে যায়। তমালরা তাঁর লোকজনকে মারধর করতে করতে তাঁর নাম ধরে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাঁকে এখানে কেন শহরের যেকোনো জায়গায় পেলে জবাই করার হুমকি দেয়।